দুঃখহরণ ঠাকুরচক্রবর্তী: সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত
পিতার মৃত্যুর পরে সংসার প্রতিপালনের ভার পরে অতি অল্প বয়স থেকেই। কর্মজীবন শুরু করেন তাঁর নিজের বিদ্যালয় ডিউক ইনস্টিটিউশনের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক হিসাবে। এরপর ডোমজুড়ের নেহেরু বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হন। অচিরেই জনপ্রিয় শিক্ষক হিসাবে তাঁর পরিচিতি বাড়ে। ১৯৭১ সালে ঝাঁপড়দহ ডিউক ইনস্টিটিউশনের প্রধানশিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সাম্যবাদী রাজনীতিতে আজীবন বিশ্বাস করেছেন দুঃখহরণ। ১৯৪৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে ১৯৪৮ সালে নেহেরু সরকার যখন কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় দুঃখহরণের নামে। ১৯৪৯ সালে রমেশ ভট্টাচার্য ছদ্মনামে আত্মগোপন করেন উত্তর কলকাতার লক্ষ্মী দত্ত লেন, নিবেদিতা লেন, পরেশনাথের মন্দির প্রভৃতি জায়গায়। আরও পরে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসাবে কারাবরণ করেছেন দুইবার। ডোমজুড় পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বহু মানুষের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। কমিউনিস্ট পার্টির কাজকে জনসেবা হিসাবে গ্রহণ করেছেন তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে। ১৯৯৮ সালে ব্যক্তিগত কারণে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কমিউনিস্ট আন্দোলনের আদর্শ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি আজও।
শিক্ষকতা এবং রাজনীতির বাইরে সারা জীবন বিদ্যাচর্চার সাধনা করেছেন। ইতিহাস থেকে সাহিত্যের নানান প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন, লেখালেখি করেছেন দীর্ঘসময় ধরে। তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। ডোমজুড় থেকে প্রকাশিত "জনকথা" পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েক বছর। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা আট। অবসর জীবনে তাঁর সর্ববৃহৎ কাজ "স্বাধীনতা আন্দোলনে হাওড়া জেলা" গ্রন্থ। ডোমজুড় অঞ্চলের আপামর মানুষ তাঁকে শিক্ষক হিসাবে আজও শ্রদ্ধা করেন এবং "মাষ্টার মশাই" বলে ডেকে থাকেন। জীবনের প্রৌঢ় বয়সে পৌঁছেও জ্ঞানচর্চার অনির্বাণ দীপটি জ্বালিয়ে রেখেছেন দুঃখহরণ।
প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা
১. স্বাধীনতা আন্দোলনে হাওড়া জেলা
২. তেভাগা আন্দোলনে হাওড়া জেলা
৩. রোদের রঙ
৪. পদধ্বনি (কবিতার বই)
৫. মহৎ জীবনের আনাচে-কানাচে
৬. হাওড়া জেলার কুইজ
৭. সমর মুখার্জির জীবন ও সংগ্রাম
৮. সঙ্গীতাঞ্জলী
তথ্যসূত্র: জ্যেষ্ঠা কন্যা শ্রীমতী শর্মিলা ভট্টাচার্য
সাম্যবাদী রাজনীতিতে আজীবন বিশ্বাস করেছেন দুঃখহরণ। ১৯৪৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে ১৯৪৮ সালে নেহেরু সরকার যখন কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় দুঃখহরণের নামে। ১৯৪৯ সালে রমেশ ভট্টাচার্য ছদ্মনামে আত্মগোপন করেন উত্তর কলকাতার লক্ষ্মী দত্ত লেন, নিবেদিতা লেন, পরেশনাথের মন্দির প্রভৃতি জায়গায়। আরও পরে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসাবে কারাবরণ করেছেন দুইবার। ডোমজুড় পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বহু মানুষের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। কমিউনিস্ট পার্টির কাজকে জনসেবা হিসাবে গ্রহণ করেছেন তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে। ১৯৯৮ সালে ব্যক্তিগত কারণে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কমিউনিস্ট আন্দোলনের আদর্শ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি আজও।
শিক্ষকতা এবং রাজনীতির বাইরে সারা জীবন বিদ্যাচর্চার সাধনা করেছেন। ইতিহাস থেকে সাহিত্যের নানান প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন, লেখালেখি করেছেন দীর্ঘসময় ধরে। তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। ডোমজুড় থেকে প্রকাশিত "জনকথা" পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েক বছর। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা আট। অবসর জীবনে তাঁর সর্ববৃহৎ কাজ "স্বাধীনতা আন্দোলনে হাওড়া জেলা" গ্রন্থ। ডোমজুড় অঞ্চলের আপামর মানুষ তাঁকে শিক্ষক হিসাবে আজও শ্রদ্ধা করেন এবং "মাষ্টার মশাই" বলে ডেকে থাকেন। জীবনের প্রৌঢ় বয়সে পৌঁছেও জ্ঞানচর্চার অনির্বাণ দীপটি জ্বালিয়ে রেখেছেন দুঃখহরণ।
প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা
১. স্বাধীনতা আন্দোলনে হাওড়া জেলা
২. তেভাগা আন্দোলনে হাওড়া জেলা
৩. রোদের রঙ
৪. পদধ্বনি (কবিতার বই)
৫. মহৎ জীবনের আনাচে-কানাচে
৬. হাওড়া জেলার কুইজ
৭. সমর মুখার্জির জীবন ও সংগ্রাম
৮. সঙ্গীতাঞ্জলী
তথ্যসূত্র: জ্যেষ্ঠা কন্যা শ্রীমতী শর্মিলা ভট্টাচার্য
মাস্টারমশাই, আপনার কবিতা পাঠ শুনলাম। খুব ভালো লাগলো। আমার ও আমার পরিবারের তরফ থেকে শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও প্রণাম নেবেন। সকলে ভালো থাকুন।
ReplyDeleteআপনার সঙ্গে মিশতে পেরে (বাপী দার বন্ধু)আমি অনুপ্রাণিত ।আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি ।সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ।
ReplyDelete