বাঙাল বাড়ির ষষ্ঠী পুজো

ছবি ১: ষষ্ঠী (বাংলার পট)
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে যে পুজো দেখেছি আমাদের নিপাট বাঙাল বাড়িতে, আজ তারই গল্প লিখবো বলে ভেবেছি। বাঙালি হিন্দুর কাছে এই দিনের বহুপরিচিতি নাম জামাইষষ্ঠী। অর্থাৎ কিনা জামাই বাবাজীবনকে মহার্ঘ্য খাবারে আপ্যায়নের দিন। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে এই একটি দিনই সাকুল্যে শুধু জামাইকে উৎসর্গিত। তাই বহু বাঙালির কাছে এই দিনের খাতিরই আলাদা। এই প্রসঙ্গে একটা ছোট্ট ঘটনা বলি, উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসে যে মাষ্টার মশাইর কাছে অঙ্কের টিউশন নিতাম, তিনি ছিলেন রসিক মানুষ। জামাইষষ্ঠীর দিন কোনো ছাত্র দেরি করে পড়তে এলেই তিনি বলতেন, "আজ তো দেরি হবেই। শ্বশুরবাড়ি ঘুরে আসতে হলো যে।" তবে আমাদের ফরিদপুরের বাঙাল বাড়িতে এই দিনটি শুধু জামাইয়ের নয়, পুত্র, কন্যা, বধূ, জামাতা, নাতি, নাতনি বেষ্টিত সমগ্র নিকট পরিজন গুষ্টির। আমাদের পরিবারের কাছে এই দিনটি আর এক বিশেষ পার্বণ। মনে পড়ে, আমাদের নতুন জামাকাপড় হতো বছরের তিনটি সময়ে -- পয়লা বৈশাখ, ষষ্ঠী আর পুজোতে। প্রথম দুটি উৎসবে আমরা পেতাম সারাবছরে ঘরে পরার গেঞ্জি, পাজামা, পাঞ্জাবি, এইসব। আর দুর্গা পুজোয় ছিল কেতাদুরস্ত প্যান্ট, জামা, জুতো। তখন না ছিল অনলাইন, না ছিল মিন্ত্রা বা আমাজনের পণ্য সম্ভার। বছরভর এই তিনদফা জামাকাপড় প্রাপ্তি এই তিন উৎসবের আনন্দ বাড়িয়ে দিত আমাদের। এবারে আসি বিশেষ ভাবে ষষ্ঠী পুজোর কথায়। এই ষষ্ঠী দেবীর অন্য নাম অরণ্যষষ্ঠী। তিনি কি বনবাসিনী, তা জানিনা। হয়তো ষষ্ঠী নামক এই লৌকিক দেবীর পূজা যখন চালু হয়, তখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা থাকতেন বনের কাছাকাছি। তাই এমন সুন্দর নাম। আমার ছোট কাকার কাছে শুনি এই দেবীর আরেক নাম বিন্ধ্যবাসিনী স্কন্দ ষষ্ঠী। স্কন্দ হলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। ষষ্ঠী দেবী হলেন সুপুরুষ দেবতা কার্তিকের পত্নী। এই স্বামী স্ত্রীকে একত্রে দেখার সৌভাগ্য হয়নি কখনো। কিন্তু আমাদের বাঙাল পরিবারে এই দুজনেরই পুজো হয় সন্তানের মঙ্গল কামনায়। দুই পুজোরই উৎস কৃষিভিত্তিক সভ্যতা, প্রজননের আকাঙ্ক্ষা আর পুত্রসন্তানের কামনায় পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন। তবে ছোট থেকে রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে বড়ো হয়েছি তো। নানান ব্রত, উপবাস, পুজো, পার্বণের আচার হতে দেখেছি বছরভর। তাতে ওই সব লৌকিক আচারের সৌন্দর্যের দিকটি আমার চোখে অক্ষয় হয়ে আছে। তারই কাহিনী বলবো এখানে।

ছবি ২: ২০১২ সালের ষষ্ঠী পুজো
ষষ্ঠী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হতো  নির্দিষ্ট দিনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে। পয়লা বৈশাখের পরেই আমার ঠাকুমা আর মা বাংলা ক্যালেন্ডারে চোখ রাখতেন, কবে ষষ্ঠী তা দেখতে। সেই অনুযায়ী পুজোর আয়োজন হবে, শাড়ি, জামা, কাপড় সব কেনা হবে। সকাল বেলার ঘণ্টাখানেকের এই পুজো, কিন্তু ষষ্ঠী ঠাকরুনের সাজের আর খাতিরের আয়োজন প্রচুর। আমার বাবার ছোট কাকিমা, আমার প্রিয় বৌদি, শুরু করতেন এই পুজোর প্রস্তুতি। কদিন আগে থেকেই মা, ঠাকুমা, কাকিমা, জেঠিমা মিলিয়ে বাড়ির সব বধূদের জন্য তৈরি হতো ষাটটি দূর্বা, ষাটটি ধানের পুঁটুলি, ষাটটি বাঁশের কুরুল (অস্ফুট বাঁশপাতা), খেজুর ছড়া আর করমচার ছড়া দিয়ে এক একটি স্তবক। প্রতিটি স্তবকে আটকানো থাকতো ঝাঁটার কাঠি দিয়ে তৈরি ছোট্ট তীর ধনুক আর তালপাতার তৈরি ছোট্ট পাখা। এই ছোট্ট পাখা তৈরি হতো পুরনো হাতপাখার অংশ দিয়ে। সব কিছুতে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা প্রকৃতির উপাদান থাকতো। স্তবকের এই প্রতিটি জিনিস একসাথে বাঁধা হতো লাল রঙের সুতোয়। এর সাথে থাকতো প্রত্যেকের জন্য ষাটটি করে পান পাতা; প্রতিটি পান আবার পরিষ্কার কাঠি দিয়ে গোঁজা। এইতো গেলো আগের দিনগুলির প্রস্তুতি। পুজোর দিন সকালবেলা ঘুম ভেঙে উঠেই দেখতাম বৌদির ঘরের দালানে চলছে পুজোর আয়োজন। নতুন জামাকাপড় সব রাখা আছে এক একটি তালপাতার পাখার ওপর। জামাকাপড়ের ওপর রাখা আছে সেই স্তবকগুলি। তারপর বৌদির হাতে রূপ পেতেন ষষ্ঠী ঠাকরুন। চালবাটা আর হলুদ দিয়ে এক অদ্ভুত আদিম দেবী মূর্তি, যে দেবী গৃহস্থের মঙ্গল করেন, সন্তানের রক্ষা করেন। শুধু তাই নয়, দেবীর সাথে তৈরি হতো তার বাহন কালো বেড়াল আর ধলো বেড়াল। দেবীর পুজোর আসনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে তারা। আরও তৈরি হতো, ক্ষুদ্রাকৃতি শোলের পোনা আর গজালের পোনা। দেবীর গায়ে লেগে থাকবে এই পোনারা অর্থাৎ কিনা শিশুরা। মার কাছে শুনেছি এক বাংলা প্রবচন, শোলের পোনা, গজালের পোনা, যার যার অঙ্গে তার তার সোনা। অর্থাৎ কিনা যে শিশু যেমনই দেখতে হোক না কেনো, মায়ের কাছে তারা সবাই সুন্দর। এরা সবাই তৈরি হতো চাল বাটা দিয়ে। দেবীর মূর্তি স্থাপন হতো কাঁঠাল তলায়, ভিজে মাটির দলায় গাঁথা কাঁঠাল পাতার নিচে। বিরাট বিরাট অজস্র ফলে ভর্তি কাঁঠাল গাছ পরিপূর্ণ জননের প্রতিমূর্তি। তাই ষষ্ঠী ঠাকরুন তার আসন পাতলেন সেই গাছের তলে। তার সঙ্গী তো আছেই সেই কালো আর ধলো বিড়ালের দল। অবন ঠাকুরের ক্ষীরের পুতুলে আছে না, ওই বিড়ালদের খিদে মেটেনি বলেই ষষ্ঠী দেবী মানবী মূর্তি ধরে ক্ষীরের পুতুল চুরি করে খেতে এসেছিলেন। আমাদের বাঙাল বাড়িতে এই দেবীর আহার্য সব নিরামিষ। আর সেখানেও বিশেষত্ব আছে। কাঁঠাল পাতার ওপর সাজিয়ে দেওয়া হতো কাওন চাল, কলা আর গুড়ের তৈরি ছোট ছোট মন্ড। কাওন চাল হলো একরকম ঘাসের বীজ। এই মন্ডটি হলো দেবীর মূল প্রসাদ। ফলের আর মিষ্টির নৈবেদ্য তো আছেই। ঠাকরুনের আপ্যায়নে কোনো রান্না করা খাবারের স্থান নেই। একই সাথে তৈরি হতো চাল বাটা দিয়ে বানানো গুজিয়ার মত ছোট আংটি, যাকে বলা হতো কঙ্কন। এই পুজো বাড়ির মহিলাদের পুজো। তাই প্রত্যেকের জন্য থাকতো এক একটি কঙ্কন যা হাতে নিয়ে তারা ব্রতকথা শুনতে বসতেন। 

ছবি ৩: ষষ্ঠী ঠাকরুনের মূর্তি,
জোড়বাংলা বালিগঞ্জ
ষষ্ঠী পুজোর আরও একটি বিশেষ ব্যাপার হলো পুকুরে স্নান করতে যাওয়া। সারা বছরে ওই একটা দিনই বাড়ির সব মেয়েরা একত্রে সার দিয়ে স্নান করতে যেত কাছেই হরি বাড়ুজ্জের পুকুরে। আমরা কজন ছোটরাও তখন ওদের সঙ্গী হতাম। শাড়ির ওপর কোমরে গামছা বেঁধে চলতো ওরা পুকুরঘাটে। ওদের হাতে থাকতো আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আম, কলা আর সেই বিশেষ স্তবক, যেগুলি তালপাতার পাখার ওপর রাখা। আমরা অপেক্ষা করতাম পাখার সম্ভার হাতে মাটির পুকুর ঘাটে। স্নান সেরে মায়েরা সেটি চাইতো। তারপর সেই আম, কলা সহ তালপাতার পাখাটি নিয়ে আরও একবার ডুব। কি যে মজা লাগতো তখন। ভিজে কাপড়, ভিজে পাখা, সব নিয়ে অতঃপর বাড়ি ফেরা। ফিরেই আরও একটি অনুষ্ঠান। সেই ভিজে পাখার শীতল বাতাস পেতাম আমরা, আর কানে শুনতাম, "ষাট, ষাট!"। পাখার তালে তালে জলবিন্দু এসে লাগতো গায়ে। কি যে ভালো লাগতো। আমি এই বাতাস পেতাম আমার মা, ঠাকুমা, পরবর্তী কালে আমার কাকীমাদের থেকেও। সারা গ্রীষ্মে ঠান্ডা বাতাসে যেন সুস্থ থাকে বাছারা। এই বোধহয় প্রার্থনা ছিল। পুজোর শেষে বাড়ি ফিরে ছিল আম, কলা প্রদান। একে বলা হতো বায়নার আম কলা। নিজের বায়নার ফল অন্য কেউ খেতে পারবে না; যার বায়না তাকেই ওইদিন খেতে হবে। আমার ভাই কোনোদিনই ফলের সমঝদার ছিল না। তাই তার ভাগের বায়না সবসময়েই যেত আমার পেটে। হয়ত নিয়মের ব্যতিক্রম করেই। এর পরে সেই ভিজে পাখার ওপর প্যাকেটে রাখা নতুন জামাকাপড় আমাদের হাতে দেওয়া হতো। কি ফুর্তি তখন আমাদের! হোক বা সামান্য জামা, তারা যে নতুনের আনন্দে ভরপুর। ষষ্ঠীর দিনে স্নান করে ওই নতুন জামা পরতে হবে। এদিকে যখন শীতল বাতাস দেওয়ার পর্ব চলছে, ততক্ষণে আবার পুজোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। যে জলচৌকির ওপর বসতেন ষষ্ঠী ঠাকরুন, তার চারপাশে সাজানো থাকতো খই, চাল, ফল আর মিষ্টির নৈবেদ্য, আর সকলের হাতপাখার সারি। পাখার ওপর সেই বায়নার আম কলা, আর সেই স্তবকগুলি। ধুপধুনোর গন্ধে আমোদিত হয়ে থাকতো জায়গাটি। পুরোহিত ঠাকুর, মানে আমাদের দাদুভাই, পুজোর শেষে ষষ্ঠীর ব্রতকথা শুরু করতেন। সেসব সংস্কৃতে হতো, তাই বোঝার কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু আমরা ছোটরা যে যার মায়ের কোলের পাশে চুপটি করে বসতাম। মায়েদের জোড় হাতে আঁচলের নিচে থাকতো সেই চালবাটার কঙ্কনটি। এর মধ্যে পুষ্পাঞ্জলিও হতো। সকলে মিলে পরম ভক্তির নিবেদন জানাতো ষষ্ঠী ঠাকরুনের পাদপদ্মে। কি সেই প্রার্থনা? সেই ভারতচন্দ্রের "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।" এই দেবীর এক্তিয়ারে আর কি কাম্য হতে পারে?


ছবি ৪: ২০১২ সালের ষষ্ঠী পুজো
পুজো শেষে সব মেয়েরা একে একে পুরোহিত ঠাকুরের হাত থেকে আশীর্বাদ নিতো। সব থেকে বড় থেকে শুরু করে সব থেকে ছোট জন। আর তারপর মায়েরা সেই আশীর্বাদী ফুলটি ছোঁয়াতো আমাদের মাথায়। প্রসাদ নিয়ে যে যার ঘরে ফেরার পালা এবার। ঘর মানে তো পাশেই। এখানেই হবে ষষ্ঠী পুজোর বায়না প্রদান আর তার সাথে ওইদিনের বিশেষ জলখাবার। ঘরের মাঝখানটিতে বসে আমার পূণ্যবতী ঠাকুমা স্তবক থেকে খুলে ধান, দূর্বা দিয়ে আমাদের আশীর্বাদ করতেন। আমরাও সকলে তার পায়ের ধুলো নিতাম। তারপর সাবু, আম, কলা, নারকেল কোড়া আর চিনি দিয়ে তৈরি করতেন এক অতীব সুস্বাদু আহার্য। তার নাম সাবু মাখা। যে সে না খেয়েছে, সে বুঝবেই না তার স্বাদ। অবশ্য এসব শুদ্ধ আহার কোনোদিনই আমার ভাইয়ের মুখে বিশেষ রুচত না। আমি চাইতাম আরও একবার বাটি ভর্তি করার জন্য। আর সে হয়ত তখন দোকান থেকে কচুরি তরকারি আনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তো। বাবা কাকারা যে যার ধান, দূর্বার আশীর্বাদ আর বায়না নিয়ে, বাটিভর্তি সাবু মাখা খেয়ে নিজের নিজের কাজে বেড়িয়ে পড়তো। মা কাকিমারা লাগতো পুজোর থালাবাসন পরিষ্কারের কাজে। আর আমার ঠাকুমা নৈবেদ্যগুলি আলাদা করে পরিপাটি করে তুলে রাখতেন। সব কাজে তার ছিল এক পেলব নিপুণতা।


ছবি ৫ : হাতের পাখা,
আর বায়নার আম, কলা
আমাদের এই বাঙাল বাড়ির ষষ্ঠী পুজো এখনো হয়, প্রতিবছর। বেশ কয়েক বছর আগে দিল্লী থেকে এইসময় গিয়ে দেখেছি সেই আগের নিয়মেই হচ্ছে পুজো। পুরনো কত মানুষ নেই, কিন্তু অনেক নতুন মানুষও তো আছে। তাদের কল্যাণে আবার সেই আদিম দেবীর আরাধনা। দাদুভাই অনেকদিন আগেই গত হয়েছেন। এখন আমার ছোট কাকা করেন সেই পুজো। এখনো পুজোর দিনে নতুন জামাকাপড় মেলে আমাদের। সেই সাবু মাখা, বায়নার আম কলা, দূর্বা, করমচা আর বাঁশ পাতার স্তবক, চাল বাটার ষষ্ঠী ঠাকরুন, সব কিছু থাকে এখনো। ধুপধুনোর গন্ধে, মৃদু কাসরের শব্দে এখনও ভরে ওঠে আমাদের নতুন গৃহের ঘরখানি। তবে মনে হয় এ পুজোর শেষ প্রতিনিধি আমার মা, কাকা, কাকিমারা। আগের মত পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে আর থাকি না আমরা। জীবনের চাহিদাগুলিও গেছে পাল্টে। কিভাবে তৈরি হবে ঝাঁটার কাঠির তীর ধনুক আর চাল বাটা দিয়ে আদিম দেবী মূর্তি, কালো বেড়াল আর ধলো বেড়াল? কি করেই বা পাওয়া যাবে নতুন বাঁশ পাতা? লৌকিক সংস্কৃতির ভগ্ন প্রাসাদ ভেঙে পড়ছে বিশ্বায়িত পৃথিবীর চাপে। জীবনের প্রয়োজনগুলি হয়ে উঠেছে ভিন্নতর জটিল। যেখানে ছিল যৌথ লৌকিক ব্যবস্থা, কৃষি সংস্কৃতির শুভ স্পর্শ, আজ সেখানে গড়ে উঠেছে একাকীত্বের আধুনিকতা। কোনটা ভালো বা কোনটা খারাপ, এ প্রশ্ন মনে হয় অবান্তর। সত্যি হয়ে থাকে জীবনের স্রোতে যেটা অধিক প্রয়োজনের, সেটা।



Picture 1 source: en.wikipedia.org/wiki/Shashthi

---------
শুভদীপ ভট্টাচার্য
২৯শে মে ২০২০

Comments

  1. খুব সুন্দর। নতুন রূপের প্রকাশ, শব্দের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক।
    জয়িতা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ খুব ভালো লাগলো। ক্ষীরের পুতুল করমচার রথ এগুলোও আমরা দেখেছি। জিওল পাতা, বাশের পাতা খেজুর ছরা আর দূর্বা দিয়ে পাখার ওপর রেখে ষাট দিতেও দেখেছি মাকে। বেতফল দেখতাম ডালায় দিতে। অরণ্য ষষ্ঠি যেন একটা উৎসব। লেখাটি পড়ে কত কথায় না মনে পড়ছে।

      Delete
  2. কী সুন্দর লিখেছেন। ঠিক যেনো ছবির মত। আমার বাবার কাছে গল্পঃ শুনেছি ওনার থাকুন ও এরকম চাল গুঁড়ি দিয়ে পুতুল, বাচ্চা, বেড়াল এবং মা স্বস্তি গড়তেন, তাতে হলুদ, বা কাজল মিশিয়ে আলাদা আল্ড রং ও করতেন। তবে, আমার ঠাকুমা বা তাঁর সম সাময়িক দের থেকে ক্রমশ এটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা আর দেখতে পেলাম না।

    ReplyDelete
  3. Asadharon laaglo lekhata , emon pranjol lekha porleo mon juriye jaay .

    ReplyDelete
  4. খুব ভালো লাগলো । কিছু নতুন কথা জানলাম । সুন্দর লিখেছেন ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

শকুন্তলা: রূপ থেকে রূপান্তরে

Bengali narrative: What are we known for?

New Dress for Durga Puja