Posts

Showing posts from September, 2020

শকুন্তলা: রূপ থেকে রূপান্তরে

Image
সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি। (সকলেই নিজের লোককে সুন্দর দেখে।) —  কালিদাস কালিদাসের কালে জন্ম নিয়ে যে মঞ্জরিত কুঞ্জবনের স্বপ্নে মেতেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তারই একপ্রান্তে বাস ছিল বনবালা শকুন্তলার। পাখির পক্ষছায়ায় লালিত সেই কন্যা বনফুলের মতো কোমল। সমগ্র বনভূমি তাঁর মাতৃভূমি, বনের পশু, পাখি, তরুলতার সাথে তাঁর সোদর স্নেহের সম্পর্ক। তিনি গাছে জল না দিয়ে নিজে জলপান করেন না, অলংকার ভালোবাসলেও গাছের পাতাটি ছেঁড়েন না। অরণ্য প্রকৃতির সব কিছু তাঁর অতি আদরের, তাঁর কাছে অতি মূল্যবান। হরিণ শিশু তাঁর আঁচলের প্রান্ত টেনে নিয়ে বলে তাকে যেতে দেবে না। তিনি পতিগৃহে যাত্রা করলে সমগ্র বনভূমি তাঁর বিচ্ছেদ বেদনায় কেঁদে ওঠে। কালিদাসের "শকুন্তলা" নাটকে প্রকৃতির সাথে মানব চরিত্রের এই অখণ্ড সম্পর্ক মুগ্ধ করেছিলো প্রকৃতির কবি রবীন্দ্রনাথকে। বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য শকুন্তলার অন্বেষণ -- কি করে কালের যাত্রাপথে রূপান্তরের পথে চলেছেন এই সাহিত্যকীর্তির নারী। ছবি ১: শকুন্তলা, রাজা রবি বর্মা সংস্কৃত নাটক "শকুন্তলা" কবি কালিদাসের একান্ত নিজস্ব সৃষ্টি নয়। তিনি শকুন্তলার কাহিনীকে পরিবর্ধিত এবং পরিবর্তিত