মহামহোপাধ্যায় কালীপদ তর্কাচার্য (১৮৮৮‒১৯৭২)
শ্রী কালীপদ তর্কাচার্য বিংশ শতকের বাংলার এক অসাধারণ সংস্কৃতজ্ঞ মহামহোপাধ্যায় কালীপদ তর্কাচার্যকে নিয়ে এই লেখা। ভারতবর্ষে সংস্কৃত কাব্য-সাহিত্যের ব্যাপ্তি বহু শতাব্দী জুড়ে বিস্তৃত। খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে পাণিনি রচিত “অষ্টাধ্যায়ী” গ্রন্থে যে সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রণালী বর্ণিত হয়েছিল তা সৃষ্টি করেছিল এক শক্তিশালী ধ্রুপদী ভাষার। এই সুললিত ভাষায় লেখা হয়েছে কত না অপরূপ সাহিত্য কীর্তির। কালিদাস , শূদ্রক , ভাস , অশ্বঘোষ যেমন ছিলেন সংস্কৃত সাহিত্যের নাট্যকার , তেমনি ভারতীয় দর্শনকে সংস্কৃতের আধারে লিপিবদ্ধ করেছিলেন যাজ্ঞবল্ক্য , রামানুজ , আদি শঙ্করাচার্য , নাগার্জুন , বাৎস্যায়ন , এবং আরো অনেকে। কালীপদ তর্কাচার্য ছিলেন এই বহু সাহিত্যকৃতির এক সেতু বিশেষ। যদিও ভারতীয় ন্যায় শাস্ত্র ছিল তাঁর গবেষণা ক্ষেত্র , তাঁর প্রতিভার দীপ্তি স্পর্শ করেছিল দেবভাষার নানান সাহিত্য কীর্তি। তাঁর সমকক্ষ সংস্কৃত গবেষক সমকালীন সময়ে বাংলায় ছিলেন বিরল। যে বিদগ্ধ পরিবারে তাঁর জন্ম সে কথা বলেই শুরু করবো এই প্রবন্ধ। একাদশ শতকে পাল রাজত্বের সমাপ্তির পরে হিন্দু রাজা আদিশূর কান্যকুব্জ থেকে পাঁচজন সংস্কৃতজ্ঞ ব্রাহ্মণকে নিয়ে আসেন ব