Suvadip Bhattacharjee Writes

প্রতিদিনের মাঝে তৈরি হয় কত কি, যা অবাক করে মনকে। তেমনই এক ছোট্ট গল্প বলবো এখন। আপিস থেকে ফিরে চা খাচ্ছি তিনজনেI আমি, মা আর ঊর্মি। টিভিতে চলছে মার পছন্দের কোনো ধারাবাহিক। কাহিনী তো জানিনা, তাই সেদিকে বিশেষ নজর দিইনি। হঠাৎ শুরু হলো বিজ্ঞাপনের বিরতি। আর তাতেই কানে লাগলো স্টার জলসায় আসছে নতুন ধারাবাহিক "গ্রামের রাণী বীণাপাণি"। তাতে আর কি বা হলো? এমন তো কতই সিরিয়াল আসছে, যাচ্ছে, থামছে। আমার কি তাতে? কিন্তু, এসে গেলো আমাদের শিনো রাণীর। অকস্মাৎ শুনলাম কণ্ঠস্বর, "বিনা পানিতে তো লোকে বাঁচবেই না। এ আবার কিরকম নাম? আর গ্রামে কি রাণী হয়? রাণী তো থাকে রাজ্যে।" ঊর্মি বলে উঠলো, "মা দেখো, হিন্দী রাজ্যে তোমার নাতনীর বড়ো হওয়ার ফল! কি হলো বীণাপাণির!" কি আর করবো, বাবা তো! এগিয়ে এলাম আমিই। তাকে বললাম, "ঠিকই বলেছো, শিনো। তবে পানি   মানে শুধু জল নয়, হাতও। আর বিনা   মানে সরস্বতীর হাতে ওই যে যন্ত্রটি রয়েছে, সেটিও। যার হাতে বীণা রয়েছে সে হলো বীণাপাণি। সরস্বতীর হাতে বীণা, তাই তার আর এক নাম বীণাপাণি।" সে বুঝলো কিনা জানিনা, কিন্তু মনে মনে বললাম, "যাক, বিনা পানি...

There is a small glass rack below the bathroom mirror where you find our toothbrush family. They are the daddy brush, the mummy brush and the brush boy Brady. They live inside a white ceramic cup which they call their home. They are a happy family and have fun together. You can spot their colours. The daddy brush is white, the mummy brush is red and Brady is yellow like a lemon. They are owned by three people – father, mother, and the young boy Ruku who all clean their teeth twice a day: before breakfast and after supper. Ruku’s little sister Tuku, the youngest one in the family, has no toothbrush yet. Ruku loves to play with his yellow toothbrush Brady. It becomes his magic wand as Ruku waves the brush over his head. The brush also takes the form of a flute as Ruku tries to play it with his fingers and lips. When Ruku travels into an imaginary dense jungle, Brady becomes his weapon. Sometimes he lifts little Brady like a flag and cries out, “I am the winner, I am the best, I am the st...

M y grandfather nurtured a dream that his grandson would learn to ride a bicycle. It began to come into reality when I was promoted to Grade 3. My elder cousin was gifted with a bicycle when he was of my age. Over the years his legs grew long and he was unable to manage that smaller bike. Hence, it was decided that I would use that old blue and red rusted bicycle. I was excited to see a real big gift when it was brought to our house in a yellow public taxi. It didn’t matter whether my gift was really new or old. In those days we used to recycle a lot of things. A neighbour boy who used to work in a cycle repair shop was asked to oil and polish my bicycle and make it a ridable one. He was also invited to be my trainer. There was no question of remuneration; but he was given an offer by my grandfather. He announced, “I will give you a box full of twenty rasgollas the day my grandson rides this bicycle himself.” The boy, named Raja, smiled and nodded in agreement.  The next day he cam...

It is a bright  Sunday morning. Little Shinu gets up and opens the door to balcony which is next to her bedroom. She starts her day with greeting a Parijat tree that grows just  below their first floor apartment. She looks at the tree and cries out, “Why does it look so horrible? Mummy, who did that?” Her parents rushes to the spot. Shinu is right. The tree is chopped short; it looks awful. Her father gives a call to Salim, the gardener, who is working at a distance with the red lawnmower. “Salim, have you cut the tree short?” Salim looks at the tree and answers, “Yes sir, I did it last evening. I trim all trees in the park before winter so they can grow well during spring. You will see that the Parijat tree will reward us flowers in the coming autumn.”           Shinu, being just five-year old, does not know when it will be autumn. “When will it be, Papa?” Father chuckles at her sad face. He bends down and pats her , “Not very far, my dear, it'...

সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি। (সকলেই নিজের লোককে সুন্দর দেখে।) —  কালিদাস কালিদাসের কালে জন্ম নিয়ে যে মঞ্জরিত কুঞ্জবনের স্বপ্নে মেতেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তারই একপ্রান্তে বাস ছিল বনবালা শকুন্তলার। পাখির পক্ষছায়ায় লালিত সেই কন্যা বনফুলের মতো কোমল। সমগ্র বনভূমি তাঁর মাতৃভূমি, বনের পশু, পাখি, তরুলতার সাথে তাঁর সোদর স্নেহের সম্পর্ক। তিনি গাছে জল না দিয়ে নিজে জলপান করেন না, অলংকার ভালোবাসলেও গাছের পাতাটি ছেঁড়েন না। অরণ্য প্রকৃতির সব কিছু তাঁর অতি আদরের, তাঁর কাছে অতি মূল্যবান। হরিণ শিশু তাঁর আঁচলের প্রান্ত টেনে নিয়ে বলে তাকে যেতে দেবে না। তিনি পতিগৃহে যাত্রা করলে সমগ্র বনভূমি তাঁর বিচ্ছেদ বেদনায় কেঁদে ওঠে। কালিদাসের "শকুন্তলা" নাটকে প্রকৃতির সাথে মানব চরিত্রের এই অখণ্ড সম্পর্ক মুগ্ধ করেছিলো প্রকৃতির কবি রবীন্দ্রনাথকে। বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য শকুন্তলার অন্বেষণ -- কি করে কালের যাত্রাপথে রূপান্তরের পথে চলেছেন এই সাহিত্যকীর্তির নারী। ছবি ১: শকুন্তলা, রাজা রবি বর্মা সংস্কৃত নাটক "শকুন্তলা" কবি কালিদাসের একান্ত নিজস্ব সৃষ্টি নয়। তিনি শকুন্তলার কাহিনীকে পরিবর্ধিত এবং পরিবর্তিত...