দিল্লীর প্রবাস জীবনে রবীন্দ্রনাথ
আমার এই গল্পের শুরু ২০০৬ সালে, যখন বাংলার পাততাড়ি গুটিয়ে শুরু করি আমার প্রবাস জীবন। তার আগে দিল্লী ছিল এক বহু দূরের শহর, দেশের রাজধানী, যার খবর পেতাম সংবাদপত্রে। বাৎসরিক ভ্রমণ শেষে এই শহর ঘুরে হাওড়ায় ফেরার ট্রেন ধরা হতো। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে পাল্টে গেলো সব। সেই দূরের শহরই ধরা দিলো আমার হাতের কাছে, আমার নতুন আবাস হয়ে। চাকরি সূত্রে থালা-বাটি-গ্লাস আর কয়েকটা জামা কাপড় নিয়ে হাজির হলাম রাজধানী শহরে। বেলুড় মঠের কাছে আমার বাড়ি হলেও চিন্তায় চেতনায় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ঘরের মানুষ, আর বিবেকানন্দ দূরের অতিথি। শুধু তো রবীন্দ্রনাথের গান শেখা নয়, ইস্কুলের নানান শ্রেণীতে রবীন্দ্রনাথের কতকিছু পড়তে হয়েছে। তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ সবকিছুতেই আবিষ্কার করতাম এক দারুন আগ্রহ। খানিক বোঝা আর না বোঝার আড়ালে বিরাজ করতেন তিনি, বিরাট দাড়ি গোঁফের সম্ভার নিয়ে। কলেজে পড়তে তখনকার “নন্দন” পত্রিকায় চিঠি লিখেছিলাম কেন রবীন্দ্রনাথ আমার প্রথম প্রেমিক। এহেন ভাবরাজ্যের বাসিন্দা হয়ে যখন এসে পড়লাম এই গোবলয় বেষ্টিত শহরে, ভেবেছিলাম ছাড়তে হলো ভালোলাগার অনেক কিছু। কর্ম আর অর্থ উপার্জনের আবর্তে হারিয়ে যায় তো কত...