তোমার বাস কোথা যে পথিক
অনেক কথাই যাবে জানা আসবে যেদিন তেমন সুদিন, রইবে না কেউ কারোর নীচে সবাই যেদিন হবে স্বাধীন। (জীবনচক্র, দুঃখহরণ ঠাকুরচক্রবর্তী) যে বর্ণময় চরিত্রের কথা লিখবো বলে এই কলম ধরেছি, তাকে বর্ণন করবো আমার সীমিত সামর্থ্যে। ছোটো থেকে পারিবারিক বৃত্তের মধ্যে সেই মানুষটিকে দেখেছি। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝেছি সেই মানুষটি আমার চেনা বৃত্তের সবসময়ের বাসিন্দা নন। কাছে থেকে কাউকে দেখার প্রধান অসুবিধা হলো সম্পূর্ণ ভাবে না দেখা। সে দেখায় ব্যাক্তি মানুষটিকে বোঝার অন্তরায় হয়, তাতে ত্রুটি থাকে। সেই ব্যক্তির ভিতর যদি বিশেষ কোনো চারিত্রিক গুণাবলী থাকে, তবে তো এই দেখার কাজটি হয় আরও অসম্পূর্ণ। যাঁকে নিয়ে এই কথাগুলি বলছি, তিনি আমার মাতামহ, হাওড়া জেলার বর্ষিয়ান শিক্ষক, শ্রী দুঃখহরণ ঠাকুরচক্রবর্তী। তাঁকে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি অনেক পরে, যখন আমি শৈশব, কৈশোরের গণ্ডি পার হয়ে এসেছি। পারিবারিক সম্পর্ক সূত্রে আমি তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা শর্মিলার পুত্র, অর্থাৎ তাঁর দৌহিত্র। তিনি আমার দাদু। ছোটো থেকে দাদুকে দেখেছি খানিকটা দূরের মানুষ হিসেবে। যদিও আমি তাঁর পরিবারের প্রথম তৃতীয় প্রজন্ম, আমার বড়ো হওয়ার বেশিরভা...